মেহেরপুরে হিমসাগর আমের বাম্পার ফলন দাম কম থাকায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ

মেহেরপুর চিত্র
২১/০৫/২৩
মেহেরপুরে আমের রাজা হিমসাগর আমের বাম্পার ফলন, দাম কম থাকায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ । মেহেরপুর জেলায় শুরু হয়েছে আম ভাঙার । এই বছরে অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারণে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা । মেহেরপুর জেলায় প্রচন্ড তাপদাহর কারণে আম কিছুটা ঝরে গেলেও আমের ফলন কমেনি বলে জানিয়েছেন বাগানের মালিকরা । বাগানের মালিক মোঃ রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ঝড়বৃষ্টি না হলে এবং বাজারে আমের দাম ভালো পেলে খরচ খরচা বাদ দিয়ে লাহবান হবেন। মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি হিমসাগর আমের বাগানের মালিক সাখাওয়াত বলেন রোদ্দের প্রচন্ড তাপ দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে হিমসাগর সহ অন্যান্য আমের সাইজটা হয়েছে ছোট, কিন্তু আম গাছে আম প্রচুর ধরেছে এতে বাজারে আমের দাম পেলে বাগানের মালিক সহ ব্যবসায়িকরা লাভ বান হবেন । আম ব্যবসায়িক হেলাল উদ্দিন বলেন এই বছরে কীটনাশক, পেপার, লেবার ও গাড়ি ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে ও আমের ব্যবসায়িকরা লাভ করতে পারবেন না । মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ নাসরিন আক্তার জানিয়েছেন এই বছরে মেহেরপুর জেলায় ২৩ ১২ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে । তিনি বলেন সরকার চিনতা ভাবনা করছে বাগানের মালিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই কারণে আম ভাঙ্গার তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আটি আম ১৫ মে, বোম্বাই ১৫ মে, গোলাপ ভোগ ১৮ মে, হিমসাগর ২৫ মে, ন্যাংড়া ২৮ মে, আম্রপালি ০৫ জুন, মল্লিকা আম ১০জুন, এটা সরকারের নির্ধারণ আম পাডা তারিখ। তারিখের আগে কেউ যদি আম পারে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন । মেহেরপুর সদর উপজেলা বারাদি বিএ ডিসির বীশ উৎপাদন খামার ও এগ্রো সার্ভিস সেন্টার এর উপপরিচালক কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান জানান এই বছরে প্রচন্ড তাপদাহর কারণে আমের সাইজ খুব ছোট তবে মেহেরপুরের আম খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি বাজারে চাহিদা ভালো কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমবাগানের মালিক এবং ব্যবসায়িকরা আম বিক্রয় করে লাভবান হবেন। আমঝুপি বিএ ডিসি বীজ উৎপাদন খামারের উপপরিচালক কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার দেবনাথ বলেন এই অঞ্চলের মধ্যে সেরা আম হিমসাগর, ন্যাংড়া, বোম্বাই ,আমরাপালি, ও নতুন অনেক জাত এসেছে যেগুলো মেহেরপুরের মাটিতে আমের ফলন ভালো হচ্ছে । মেহেরপুরের আম বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যবসায়িকেরা রপ্তানি করছেন এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা । এতে লাভমান হচ্ছে বাগানের মালিক ও ব্যবসায়িকরা । আমঝুপি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান আম বাগানের মালিকদের কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস ।