
গাংনী সংবাদদাতা :
১৫/১০/২৫
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া বড় মসজিদপাড়া এলাকায় মহিলা জামায়াতের নেত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দাওয়াতি কাজ চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মহিলা জামায়াতের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিলা জামায়াতের কয়েকজন নেত্রী এলাকায় দাওয়াতি কাজে অংশ নিচ্ছিলেন। এ সময় আসাদুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান ও আমতৈল গ্রামের মৃত সাত্তারের ছেলে বিল চান্দ তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হাতে থাকা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আঘাত করে। এতে হালিমা খাতুন ও জাহিরুন্নেছা নামের দুইজন বৃদ্ধ মহিলা জামায়াত সদস্যা আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতরা অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে বলেন, “ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির নির্দেশ এলাকায় কোনো মহিলা জামায়াত নেত্রী ভোট চাইতে পারবে না। যদি চাই তাদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে।
ঘটনার সময় উপস্থিত ইউনিয়ন জামায়াতের তদারককারী রমেলা খাতুন বলেন, আমরা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। হঠাৎ দুই মোটরসাইকেল আরোহী এসে আমাদের গালিগালাজ শুরু করে এবং বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমাদের দুইজন সদস্যা আহত হয়।
আহত হালিমা খাতুন জানান, আজ আমাকে আঘাত করা হয়েছে, তবে দুই দিন আগেও চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি নিজে আমাকে গালিগালাজ করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের দাওয়াতি কার্যক্রম বন্ধ করারও নির্দেশ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ষোলটাকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানতাম না। এলাকায় ঝামেলা হয়েছে শুনে সেখানে গিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। তারা তাদের ভোট চাইলে আমি বাধা দেবো কেনো? কেউ আমার নাম ব্যবহার করে কিছু করলে আমার কি করার আছে। পরে আমি মহিলা নেত্রীদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। তবে যারা এ কাজ করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, আমি খবর পেয়ে হেমায়েতপুর ক্যাম্পের আইসিকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি এবং বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।