মেহেরপুরে জামায়াতের রুকন সম্মেলন
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা:
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন বলেছেন, আন্দোলনে আহতরা যারা রয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার জন্য কাজ করছে জামায়াত। এমন কি তাদের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলা হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হবে একটি যৌক্তিক সংস্কার করা। এ জন্য আমরা ১০ দফা দাবি তাদের কাছে পেশ করেছি। সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর-২৪) দুপুরে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই কথাগুলো বলেন।
মেহেরপুর জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে জেলা আমীর ও সাধারণ সম্পাদকের শপথের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমীর মাও. তাজ উদ্দীন খাঁন। অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আলমগীর বিশ্বাস যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চল সদস্য মেহেরপুর তদরকি,। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হুছাইন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাও. মাহাবুবু উল আলম,জেলা শুরা সদস্য ডাক্তার আব্দুস সালাম,জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা কাজী রুহুল আমিন, জেলা সমাজকল্যাণ সভাপতি মো: জারজিস হোসাইন, সদর উপজেলা আমীর সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমীর মাওলানা খান জাহান আলী, মেহেরপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ (মুকুল) গাংনী উপজেলা আমীর ডাক্তার রবিউল ই সলাম,৷ মেহেরপুর পৌর আমীর সোহেল রানা (ডলার) সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার জাব্বারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা সেক্রেটারি মোঃ খাইরুল বাশার, কানন শিল্প গোষ্ঠীর উপদেষ্টা ও কালচারাল শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মো:আব্দুল জব্বার, সহ জেলার রুকন সদস্যরা। অনুষ্ঠানে নব নির্বাচিত আমির ও সেক্রেটারি শপথ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, জামায়াতের আমির ডঃ শফিকুর রহমান ও জামায়াতের গ্রহণ যৌগ্যতা দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ মানুষ এখন মনে করছে দেশে দুর্ণতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হলে জামায়াতের কোন বিকল্প নেয়। এজন্য জাময়াতের রুকনদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষে মাঠে কাজ করে তাদেও আস্থা অর্জন করা দরকার। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রুকন সদস্যদের সরাসরি ভোটে জেলার সুরা সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে । যারা জামায়াতের সাংগাঠনিক শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ করার দৃঢ় অঙ্কিার ব্যক্ত করেন। সময় স্বেচ্ছা সেবকের দায়িত্ব পালন করেন জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।