- ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব-২৩
- ২৭প্রকারের পিঠার উপস্থাপন
-এম. সোহেল রানা, মেহেরপুর: ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পিঠা উৎসব-২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার(২০ফেব্রুয়ারি-২৩) সকাল সাড়ে ১১টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুরস্থ ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নাজমা সালেহীনের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি হিসাবে পিঠা উৎসব-২৩ ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন- মোঃ আনারুল ইসলাম, (উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার, মেহেরপুর সদর)।
প্রধান অতিথি জানান- প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও পিঠা উৎসব পালিত হচ্ছে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছরেই যেন এই উৎসবটি চলমান থাকে এবং পিঠা উৎসবটি পালন করে প্রিয় শিক্ষার্থীরা, প্রতি বছরেই যেন নতুন নতুন পিঠা তৈরী করে উপস্থাপন করে এমন আশা ব্যক্ত করেন। আবার শিক্ষার্থীদের কিছু পরামর্শ প্রদান করেন, প্রতিটা স্টলের নাম প্রদান করতে হবে। স্টল সুন্দরভাবে সাজাতে হবে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য। প্রতিটা রেসিপি নিজে নিজেই বানাতে হবে। কি কি উপাদান দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয় সেগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যে যে পিঠা বানাবে তার স্বাদটা জানতে হবে। পিঠার নামের সাথে আকার-আকৃতির মিল থাকতে হবে। এবং পরে শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসবের স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। পিঠা-পুলি বানানোর জন্য কি কি উপাদান ব্যবহার করতে হয় সেগুলোও শিক্ষার্থীদের সাথে জানতে চান। প্রতি বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিঠা উৎসব পালন করার জন্য প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান নাজমা সালেহীনের মাধ্যমে জানতে পারি- প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সহযোগীতায় এই বছরসহ বিগত ৫বছর যাবৎ উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে পিঠা উৎসব পালন করে আসছি। পিঠা উৎসব-২৩ এ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন নামের ২৭প্রকারের পিঠা তৈরী করেছে এবং স্টলে উপস্থাপন করেছে।ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক, দিলারা পারভীন, মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ নাদিমুল হক, মোঃ নাহারুল ইসলাম, মোঃ বাবুল হোসেন, শরিফা ইয়াসমিন, মোঃ আসাদুল ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, আসিফ আঞ্জুম, মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ। আরোও উপস্থিত ছিলো- অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উৎসব মূখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা।
প্রতি বছরে পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ সহযোগীতা পেয়ে থাকে যে শিক্ষকের মোঃ নাদিমুল হক জানান- এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু জানতে পারবে, বর্তমান যুগে ফাস্ট ফুডের কারণে গ্রাম-বাংলার কৃষ্টি-কালচার পিঠা পুলির ঐতিহ্য হারানোর পথে তাই আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরে পিঠাপুলির ঐতিহ্যটা টিকিয়ে রাখার জন্য ভবিষৎ-এ যেন পিঠাপুলির ঐতিহ্য না হারায় সেই লক্ষ্যেই উৎসবটি পালন করে থাকে। শেষে-ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পিঠা উৎসবে যে সকল শিক্ষার্থীরা পিঠা তৈরি করে স্টল দিয়েছে ও যে শিক্ষার্থীরা পিঠা উৎসবে পিঠা কিনে খেয়েছে সকলেই তাদের পিঠা উৎসবের ভালোলাগা অনুভূতিগুলো সুন্দর ভাবে প্রকাশ করে থাকে।