Home » বাংলাদেশি কর্মীদের আগ্রহ কেন দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে

বাংলাদেশি কর্মীদের আগ্রহ কেন দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে

কর্তৃক m4BfLuMO2yLhlamiz
620 ভিউস

বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আর দুদেশের সম্পর্ক আরও বেশি নিবিড় ও মজবুত হচ্ছে কোরিয়ার শ্রমবাজারের মাধ্যমে।

দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প খাতে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে সরকারিভাবে প্রতিবছর কয়েক হাজার বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় প্রবেশ করছে। বাংলাদেশি কর্মীদের প্রধান আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন দক্ষিণ কোরিয়া। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে কোরিয়ায় উচ্চ বেতনের চাকরি ও উন্নত জীবনযাপন।

দক্ষিণ কোরিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, উন্নত প্রযুক্তি, ইন্টারনেট গতি, শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, কঠোর পরিশ্রম ও আইনের শাসন–কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই দেশটি। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে কয়েক ধাপে প্রার্থী নির্বাচনের পর দক্ষ কর্মীরা যেতে পারেন কোরিয়ায়।

নিয়মানুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে আগ্রহী কর্মীদের কমপক্ষে এসএসসি পাস হতে হয়। পাসপোর্টে বয়স থাকতে হয় ১৮ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া কোরিয়ান ভাষা জানতে হবে এবং কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এসব যোগ্যতা থাকলেই একজন ব্যক্তি কোরিয়ায় যেতে পারবেন।

মূলত বাংলাদেশ থেকে কর্মী যায় দক্ষিণ কোরিয়ার উৎপাদন খাতে। এর মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিকশিল্প, কাঠশিল্প, মেটালশিল্প, টেক্সটাইল, পোশাকশিল্প, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস শিল্প, খাদ্যপণ্যশিল্প, কাগজশিল্প ও মেশিনারিজ।

একজন ব্যক্তির পক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সব মিলিয়ে মাসে তিন লাখ টাকাও আয় করা সম্ভব। এখন একজন কর্মীর ন্যূনতম মাসিক আয় দেড় লাখ টাকা। সপ্তাহে শনি ও রোববার ছুটি ছাড়া মাত্র পাঁচ দিন কাজ করতে হয়।

কোরিয়া সরকার শ্রমিকদের দিন দিন সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছে। তাই কোরিয়া নিয়ে কর্মীদের আগ্রহ আরও বাড়ছে। চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছে।

বোয়েসেলের তথ্যমতে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে। আগামী তিন মাসে আরও প্রায় দুই হাজার কর্মী যাওয়ার সুযোগ পাবে। আগামী বছর তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবে বলে আশা করছে বোয়েসেল।

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যেতে হলে কয়েক ধাপে প্রার্থী নির্বাচন করে বোয়েসেল। এইচআরডি কোরিয়া থেকে সার্কুলার হলে অনলাইনে নিবন্ধন করার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে প্রার্থীদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে হয়। সাধারণত প্রতিবছরের শুরুর দিকে নিবন্ধন শুরু হয়।

তবে এবার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আগস্টের শেষে। অনলাইনে বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করার পর লটারি হয়। লটারিতে নাম এলে ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সবশেষ স্কিল টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।

একজন কর্মী খুব কম খরচে কোরিয়ায় যেতে পারেন। বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জসহ সব মিলিয়ে একজন কর্মীকে ৩৩ হাজার ৫২৪ টাকা জমা দিতে হয়। বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ বাদে কর্মীকে দিতে হয় বিমানভাড়ার টাকা। চার্টার্ড বিমানে জনপ্রতি ভাড়া ৭৭ হাজার টাকা।

অন্যান্য সময়ে বিমানভাড়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। এ ছাড়া ১ লাখ টাকা জামানত হিসেবে রাখতে হয়। এর বাইরে আর কোনো খরচ নেই।

ইপিএস সিস্টেমে বাংলাদেশ, নেপাল, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, উজবেকিস্তানসহ বিশ্বের ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্যে কোরিয়ানদের কাছে বাংলাদেশি কর্মীদের সুনাম রয়েছে। কারণ, অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশি কর্মীদের ভাষা ও কর্মদক্ষতা কোরিয়ানদের সহজে মন জয় করে।

কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ২০০৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির ভিত্তিতে ২০০৮ সাল থেকে দেশটিতে দক্ষ কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস অব কোরিয়া (এইচআরডি কোরিয়া) কর্মী পাঠানোর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

বোয়েসেলের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ হাজার ২১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৬ জন নারী। চলতি বছর প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী বছর ৩ থেকে ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবেন বলে আশা করছে বোয়েসেল।

মেহেরপুর কাথুলী রোড walton শোরুমে, ওয়ালটনের সকল পণ্য সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হয়। ওয়ালটন ফ্রিজ, ফ্যান, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, সহ অনেক পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। যোগাযোগের ঠিকানা, মেহেরপুর কাথুলি রোড, মোবাইল নাম্বার ০১৪০৩২৫৭৭৭০- ০১৩০৫৪২৪৬২০

০ মন্তব্য
0

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন