মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা
১৮/০৫/২৫
মাত্র ২০০ টাকা মন আম বিক্রয় হচ্ছে, আধা ঘন্টার কাল বৈাশাখীর তান্ডবে তছনছ মেহেরপুরের আম-লিচু, কলা ফসলি জমি ও গাছাপালা। রাত থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলো পুরো জেলা। ঝরে পড়েছে আম-লিচু, কাঁঠাল। পাশাপাশি মাটির সাথে নূয়ে পড়েছে কলা ও ধানক্ষেত। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা চাষিদের। অন্যদিকে ১৫ মে থেকে আম-লিচু সংগ্রহ শুরু করেছে বাগানীরা। গতকালের ঝড়ে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ আম-লিচু ঝরে পড়েছে বলে দাবি তাদের। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। মেহেরপুরের চাঁদবিল গ্রামের কলা চাষী তুফান বলেন আমার একটি দুই বিঘার কলাক্ষেত ছিলো আর কয়েকদিন পরই ফসল ঘরে তুলতাম। দুই বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা গতাকালের ঝড়ে পুরোক্ষেত মাটির সাথে মিশে গেছে । এখন একটি টাকাও ঘরে তুলতে পারবো না। বরং এ জমি থেকে কলা গাছ সরাতে আরও পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হবে। একই উপজেলার আম ও লিচু ব্যবসায়ী সাখারত হোসেন বলেন এ বছর আমার প্রায় বিশ লাখ টাকার আম ও সাত লাখ লিচুর বাগান কিনা ছিলো ঝড়ে আম ও লিচু অর্ধেক পড়ে গেছে এতে আমার অনেক টাকা লোকসান হবে। একই গ্রামের আরেক চাষি মহিদুল ইসলাম, সাহাবুল ইসলাম জানান, গতকালের কালবৈশাখি ঝড়ে অধিকাংশ লিচু ফেটে গেছে। যা ফলন হওয়ার কথা তার অর্ধেক ফলন হবে। এতে যারা লিচু চাষ করেছেন তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এছাড়া ব্যাঘাত ঘটতে পারে আম রপ্তানিতে। মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ আলী জানান, মাঠঘুরে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের চেষ্টা করছেন তারা। আগামীকালের মধ্যেই জানা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।
এদিকে ঝড়ের তান্ডবে উড়ে গেছে বহু ঘরের টিনের চাল সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মেহেরপুর শহর, সদর ও মুজিবনগর উপজেলা। গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে সড়কের উপর। বিঘœঘটে যান চলাচলে।