মেহেরপুর সংবাদদাতা
২১/০৬/২৫
ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে হলে ইসলামী হুকুমতের কোনো বিকল্প নেই” — মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “জামায়াতের প্রতিটি জনশক্তিকে মাঠপর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে এবং ইসলামী চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
শনিবার মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আয়োজনে মেহেরপুর জেলা কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী রোকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা আমীর মাওলানা তাজউদ্দীন খান। শিবির পরিচালনা করেন জেলা তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিমের সদস্য ডা. আলমগীর বিশ্বাস, কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল কাশেম ও জেলা কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল মজিদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মহাবুব উল আলম,জেলা সুরা সদস্য অগ্নি ২ আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী নাজমুল হুদা, জেলা সেক্রেটারি মো. ইকবাল হুসাইন, বায়তুলমাল সেক্রেটারি জারজিস হুসাইন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, দাওয়াহ বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল রানা, প্রচার সেক্রেটারি খাইরুল বাসার, যুব বিভাগীয় সেক্রেটারি সোহেল রানা ডলার এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল,সদর উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম।
শিক্ষাশিবিরে রোকনদের মাঝে আদর্শিক, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও রোকনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন যদি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে তাহলে দুর্নীতি , দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, এটা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় দেয়া হবে। মেয়েরা স্বাধীনভাবে চাকরি করতে পারবে, অন্যান্য ধর্মীয় জাতি গোষ্ঠীরা তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে,। তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বলে কিছু থাকবে না সবাই বাংলাদেশী নাগরিক এবং নাগরিকের যে দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রের কাছে যে প্রাপ্য পরিপূর্ণ তাদেরকে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ন্যায় এবং ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই। প্রত্যেকটা নাগরিক রাষ্ট্রের সকল সুবিধা ভোগ করবে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন আগামীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।